নতুন দিল্লি, ২ ডিসেম্বর: দেশের সমস্ত থানা (Police Station), সিবিআই, এনআইএ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সহ দেশের সব তদন্ত সংস্থাগুলিকে অবশ্যই অফিসে নাইট ভিশন এবং অডিও রেকর্ডিং ফিচার সহ সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV cameras) লাগাতে হবে। একটি আবেদনের শুনানিতে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, রাজ্যগুলিকে সমস্ত থানায় অডিও সহ ক্যামেরা ইনস্টল করতে হবে। সুরক্ষা ক্যামেরাগুলি জিজ্ঞাসাবাদের ঘর, লক-আপ, ঢোকা ও বেরনোর জায়গায় লাগাতে হবে।
বিচারপতিরা বলেছেন, "এই এজেন্সিগুলির বেশিরভাগই তাদের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়, সুতরাং যে সকল অফিসে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং কাউকে রাখা হয় সেখানে সিসিটিভি লাগাতে হবে। এই ক্যামেরাগুলি অবশ্যই থানার প্রবেশ ও প্রস্থান স্থান, লকআপ, করিডর, লবি, রিসেপশন এলাকা, ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টরের ঘর, পরিদর্শকের কক্ষ এবং ওয়াশরুমের বাইরে অবশ্যই ইনস্টল করা উচিত।" শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, রেকর্ডিং সুবিধাসহ সিসিটিভি ক্যামেরা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর এবং গুরুতর জালিয়াতি তদন্ত অফিসের কার্যালয়ে স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে প্রমাণের জন্য অডিও রেকর্ডিংগুলি ১৮ মাস সংরক্ষণ করতে হবে। রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশ মেনে ছয় সপ্তাহের মধ্যে অ্যাকশন প্ল্যান রিপোর্ট জামা দিতে বলা হয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেছে যে এই নির্দেশগুলি জীবন রক্ষার এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ মেনে চলছে। আরও পড়ুন: Republic Day 2021: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন: রিপোর্ট
পাঞ্জাবে পুলিশ হেপাজতে নির্যাতনের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল আজ সুপ্রিম কোর্টে। শুনানিতে উঠে আসে যে ২০১৮ সালে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও এই অফিসগুলিতে ক্যামেরা লাগানো হয়নি। বিচারপতিরা বলেছেন, "সুপ্রিম কোর্টের আদেশ পাস হওয়ার পরে আড়াই থেকে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তেমন কিছুই করা হয়নি।" রাজ্যগুলিকে সিসিটিভির জন্য তহবিল বরাদ্দ করতে বলা হয়েছে। হেপাজতে নির্যাতনের অভিযোগ শোনার জন্য প্রতিটি জেলায় মানবাধিকার আদালতও গঠন করার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।